জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ৬, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 445 বার
রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয় লাভ করেছেন মহাজোটের প্রার্থী রাহগীর আল মাহী ওরফে সাদ এরশাদ। তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়েছেন। ধানের শীষ প্রতীকে ১৬ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বিএনপির রিটা রহমান। মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল শাহরিয়ার ওরফে আসিফ (আসিফ শাহরিয়ার) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৮৪ ভোট, তার অবস্থান তৃতীয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এই তথ্য জানিয়েছেন রির্টানিং কর্মকর্তা জি এম শাহাতাব উদ্দিন। তিনি জানান, রংপুর-৩ আসনের ১৭৫টি কেন্দ্রে মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ২২৪ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯৪ হাজার ৬ জন। ভোট কাস্টিংয়ের অনুপাত ২২.৮৬ শতাংশ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে জানানো হয়, মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ২২৪ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯৪ হাজার ৬ জন। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৭৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে একযোগে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।
এই উপনির্বাচনে ১৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৬টি কেন্দ্রকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আর রংপুর মহানগর এলাকার ৪০টি কেন্দ্রকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৭৬২ জন।
এই আসনে অন্যান্য প্রার্থী হলেন এরশাদের ভাতিজা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার। সাবেক এই সংসদ সদস্যের প্রতীক ছিল মোটরগাড়ি (কার)। এছাড়া আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শফিউল আলম, মাছ প্রতীক নিয়ে গণফ্রন্টের প্রার্থী কাজী মো. শহীদুল্লাহ এবং দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মো. তৌহিদুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগ সরে গিয়ে মহাজোট হিসেবে নির্বাচন করায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন মো. রেজাউল করিম রাজু। বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. একরামুল হক ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. কাওছার জামানের মনোনয়ন।
উপনির্বাচনকে সামনে রেখে একদিন আগে ১৭৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ‘মক ভোটিং’ কার্যক্রমের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চার থেকে পাঁচজন পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আরও ১০-১২ জন দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটসহ শতাধিক স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স মাঠে ছিলেন। পুলিশকে সহায়তা করতে ১৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। মাঠে ছিল র্যাবেরও ২৪টির মতো মোবাইল টিম।
Leave a Reply