দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রাপ্ত ফলাফলে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২৪টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ, ১১টিতে জাতীয় পার্টি ও ৬০টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, ২টি আসন স্থগিত ও ১টিতে অন্য দল জয় পেয়েছে।

সারাদেশ থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর বাইরে আওয়ামী লীগেরই নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। এছাড়া বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে আসা কল্যাণ পার্টি জয় পেয়েছে একটি আসনে।

এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই আসনে নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে।

সহিংসতা, নাশকতা, কারচুপি, ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগের মধ্য দিয়ে এদিন বিকাল ৪টায় শেষ হয় ভোট গ্রহণ। তবে অনেক আসনে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের খবরও পাওয়া গেছে।

ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে ‘৪০ শতাংশের মতো’ ভোট পড়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে। সরকারের যে উইল ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের, সেদিক থেকে সরকারের তরফ থেকে আন্তরিকতা ছিল, সহযোগিতা ছিল। সেই সহযোগিতা পেয়েছি বলেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। তবে আমি বলছি না নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপিসহ ১৬টি দল নির্বাচন বর্জন করে আন্দোলনে রয়েছে। বেশকিছু জায়গায় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ভোট ঠেকাতে হরতাল ডেকেছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো।

এসব দলের ভোট বর্জনের মধ্যেই দেশের ২৯৯টি আসনে নির্বাচন শেষ হয়েছে। দেশের ৪২ হাজার ২৪টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মোট ১৯৬৯ প্রার্থীর মধ্যে ৪৩৭ জন লড়ছেন স্বতন্ত্র হয়ে। দলীয় প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৫৩২ জন।

ভোট গ্রহণের বিষয়ে ইসি সচিব জাহাংগীর গণমাধ্যমকে জানান, বেলা ৩টা পর্যন্ত সাতটি কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। তবে কোন কোন কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে তা তিনি জানাননি।

তিনি জানান, এই সময়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ভোট পড়েছে ২৫%, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭%, খুলনা বিভাগে ৩২%, সিলেট বিভাগে ২২%, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯%, রাজশাহী বিভাগে ২৬%, রংপুর বিভাগে ২৬% এবং বরিশাল বিভাগে ৩১% ভোট পড়েছে।

এবার ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’র মাধ্যমে আসনভিত্তিক ভোটের তথ্য জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ভবনে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল থেকে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।