কোটা পদ্ধতি বাতিলে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ঘোষণা দেওয়ার পরেও প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দাবিতে ফের আন্দোলনের হুমকিকে সমীচীন মনে করছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদের। রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।কোটা নিয়ে শিগগিরই সমাধান মিলবে জানিয়ে আন্দোলনকারীদের ক্যাম্পাসে ফিরে পড়াশোনায় মন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।“ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, অনুন্নত জেলা, মুক্তিযোদ্ধা, নারী আছে, এখানে একটা সুসমন্বিত কিছু করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে এবং এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনেক দিন বিদেশে ছিলেন, এ প্রক্রিয়াটা থেমে নেই। যার জন্য আন্দোলন, কোটাটাই বাতিল করা হয়েছে।”
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদে যা বললেন সেটার আবার গেজেট প্রকাশের জন্য আন্দোলনের হুমকি, এটা বোধহয় সমীচীন হচ্ছে না। আমি ছাত্র সমাজকে বলব, তাদের দাবির ব্যাপারে সরকার খুবই সহানুভূতিশীল এবং সরকার সক্রিয়।’

তিনি বলেন, ‘কোটা বাতিলের যৌক্তিক সমাধানের সব রকম প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। কাজেই আমি তাদের বলব একটু ধৈর্য্য ধরতে। অনতিবিলম্বে তারা সমাধান পেয়ে যাবেন। এই নিয়ে আন্দোলন পরীক্ষা, ক্লাস বর্জন করা ঠিক হচ্ছে না।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণ জারির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। প্রজ্ঞাপন জারির প্রক্রিয়া থেমে নেই। সময় মতোই প্রজ্ঞাপণ জারি করা হবে।’

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই ফাইনাল। এই ইস্যুতে আন্দোলনের হুমকি সমীচীন নয়। ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সরকারের সহানুভূতি রয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোনও কোটা পদ্ধতি থাকবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোটা বাতিলের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দিয়েছেন। কোটা থাকবে না এটা তিনি বলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটা বলেন সেটা তিনি করেন। তার কথার নড়চড় হয় না। এখানে অনেকগুলো কোটা আছে। এগুলো সমন্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কাজ থেমে নেই।’