খাগড়াছড়ির রামগড়ে নিজের মেয়েকে ধর্ষণকারী সেই পাষণ্ড বাবা মো. আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে শিয়াল কাশেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ পর শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি আদালত চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মো. আবদুল হান্নান বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ পাষণ্ড বাবাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে আসছে। অবশেষে বিশেষ কৌশলে ছদ্মবেশী পুলিশ খাগড়াছড়ি আদালত চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে গত ১৯ জুলাই বিকেলে ধর্ষণের শিকার মাদরাসাছাত্রীর চাচা মো. ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর নিজের মেয়েকে ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতার দায়ে এজাহারভুক্ত অপর আসামি মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির রামগড়ে মায়ের সহযোগিতায় মাদরাসাপড়ুয়া নিজের ঔরসজাত মেয়েকে ধর্ষণ করে বাবারূপী এক নরপশু। গত ২ জুলাই রাতে জোরপূর্বক প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। এভাবে বাবার দ্বারা কয়েকবার ধর্ষণের শিকার হয় সে। বাবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি ওই মেয়েটি।

সবশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে ছোট ভাইবোন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আবারও ধর্ষণ করতে গেলে সে তার সঙ্গে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতে বলে মেয়েটি। ধর্ষণের সময় সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরত। ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে তাকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে ফেলারও ভয়ভীতি দেখাত তার বাবা।

বিষয়টি প্রথমে দাদিকে জানালেও দাদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গত ১৪ জুলাই চাচা ওমর ফারুককে বাবার যৌন লালসার কথা জানায় ওই মাদরাসাছাত্রী।

১৮ জুলাই রাতে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মেয়েটি একাধিকবার তার বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করে। তার মাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনা জানাজানির পর পিতারূপী পাষণ্ড পলাতক ছিল।