জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ জুলাই ১৮, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 496 বার
বরগুনা সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এ হত্যা পরিকল্পনায় সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি মো. রাশিদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেনের নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অভিযান চালিয়ে রিশানকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া সব আসামি এবং মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কারণে সুস্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিন্নি এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতেন। শুরু থেকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের সঙ্গেও তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটাতে যা যা প্রয়োজন, তা সম্পাদনে খুনিদের সব ধরনের মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন মিন্নি। মিন্নি নিজেও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আগে ও পরে খুনিদের সঙ্গে মিন্নির কথোপকথনও হয়েছে।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দু-একটি গণমাধ্যম রিফাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশ করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
রিফাত হত্যাকাণ্ড মাদকের কারণে হয়নি দাবি করে পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডটি কোনো মাদকের কারণে ঘটেনি। ঘটেছে ব্যক্তিগত জিঘাংসার কারণে। মাদক বা অন্য কোনো ইস্যুর কথা উঠলে মামলাটির ফোকাস ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে। এ মামলায় বাদী যাদের হত্যাকারী দাবি করেছেন, আমরা তাদের প্রায় সবাইকেই ধরেছি এবং কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। এ পর্যন্ত আমরা এজাহারনামীয় আটজনকে গ্রেফতার করেছি। সর্বমোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতএব এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।
Leave a Reply