অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ৯, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 367 বার
চট্টগ্রামের একটি কলেজে বিবিএ অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী সাফিয়া আক্তার তানজী। ফেসবুকে একটি গ্রুপের মাধ্যমে পরিচয় হয় বরিশালের বাসিন্দা সহিফুল ওরফে সাইফের সঙ্গে। এ পরিচয় রূপ নেয় প্রণয়ে।
এরপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাফিয়াকে চট্টগ্রাম থেকে বরিশালে ডেকে আনেন সাইফ। কিন্তু প্রেমের পর বিয়ের প্রলোভনে সাফিয়াকে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যুক্ত করাই ছিল সাইফের মূল লক্ষ্য।
সোমবার দিবাগত রাতে বরিশালের একটি মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে সাফিয়াকে উদ্ধার করে জান্নাতুল নাঈমা (২২) নামে এক নারী জঙ্গিকে আটক করে র্যাব-২।
পরে মঙ্গলবার সকালে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে আফজাল হোসেনকে (২৩) আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও মোবাইল উদ্ধার করে র্যাব। তাদের আটক ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, গত ২৬ জুন চট্টগ্রাম থেকে বিবিএ শিক্ষার্থী সাফিয়া নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার ছায়া তদন্তের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে বরিশালের একটি মাদরাসা থেকে সাফিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আনসার আল ইসলামের নারী সদস্য নাঈমাকে আটক করে র্যাব।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, সাফিয়ার সঙ্গে ফেসবুকে নাঈমাসহ বেশ কয়েকজন মেয়ের পরিচয় হয়। সেখানে একটি গ্রুপে নাঈমার ফেসবুক বন্ধু বরিশালের সাইফের সঙ্গে কয়েকজনের প্ররোচনায় পরিচয় ও ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে সাফিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাইফ। প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে গত ২৬ জুন নাঈমার সঙ্গে বরিশালের উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়েন সাফিয়া। বরিশালে পৌঁছানোর পর প্রেমিক সাইফ তাকে একটি মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। মাদরাসায় অবস্থানের সময় জঙ্গিবাদে প্রলুব্ধ করতে থাকে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, নাঈমা চট্টগ্রামের একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী। সে ফেসবুকের একটি গ্রুপে বিভিন্ন নারী সদস্যদের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগ দেয়। সে জঙ্গি সংগঠনটির মহিলা সদস্য বৃদ্ধিতে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ইতোমধ্যে সে বেশ কয়েকজন নারীকে সংগঠনে অন্তর্ভু করেছে। বিয়ে করার জন্য সাফিয়ার ওপর কুরআন হিফজ করার শর্ত জুড়ে দেয় সাইফ। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা ও সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাফিয়াকে বরিশালে নিয়ে যায়। নিজের বোন পরিচয় দিয়ে একটি মাদরাসায় সাফিয়াকে ভর্তিও করিয়ে দেয় নাঈমা।
তিনি আরও জানান, অপর আটক আফজাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত। সে বর্তমানে রাজধানী ঢাকার নিকটস্থ একটি এলাকার স্থানীয় সংগঠক। সংগঠনের নির্দেশনা অনুসারে নারী সদস্যদের দলে অন্তর্ভুক্তিসহ নাশকতার পরিকল্পনা করছিল আফজাল।
আটকদের বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সোপর্দ করে রিমাণ্ড চাওয়া হবে। আনসার আল ইসলামের মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্তির এ প্রক্রিয়ায় জড়িত সাইফসহ অন্য পলাতকদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নি
Leave a Reply