ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় শওকত নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

শওকত উপজেলার মেহাড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি ওই ওয়ার্ডের যমুনা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) আব্দুল করিম পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানান, শুক্রবার দুপুরে শওকত বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা খবর পান শওকতকে মারধর করে যমুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

শওকতের মেয়ে জিদনী আক্তার জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে তার বাবা বাড়ি থেকে বের হন। রাত সোয়া আটটার দিকে তার মা ফোন করলে জানায় তিনি বাড়ি আসছেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তারা খবর পান শওকতের ওপর হামলা করা হয়েছে। খোঁজাখুঁজির পর যমুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে আহত শওকতকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিক্যালে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার সময় হত্যাকারিদের নাম বলেছে গেছে। জাকির, মোর্শেদ, জসিম, ফরহাদসহ আরো কয়েকজন মিলে হত্যা করেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমার বাবার হত্যাকারিদের বিচার চাই।’