অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ৫, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 548 বার
নোয়াখালীত সুধারাম মডেল থানার দক্ষিণ শুল্লকিয়ায় সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় স্বামীকে মারধর করে ঘর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে যাওয়ার সময় স্বামীর দায়ের কোপে এক ধর্ষক আহত হয়। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক কন্যা সন্তানের জননী (৩০) ও তার স্বামী আবদুর রহিম জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতেও তারা খাওয়া ধাওয়া শেষে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল এ সময় তাদের ঘরের পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে সিঁদ কেটে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাদের আটক করে ভিকটিমের নিকট থাকা গলার স্বর্ণের হার ও কানের দুল এবং ঘরে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা ও ১টি মোবাইলফোন সেট নিয়ে ৩ জন স্বামী আবদুর রহিমকে অস্ত্রের মুখে পাশের রুমে আটক করে রাখে। পরে ৪ জন পালাক্রমে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে এবং যাওয়ার পূর্বে স্বামীকে বেদম প্রহার করে। এ সময় আবদুর রহিম উপায় না দেখে খাটের নিচে থেকে দা নিয়ে এক ধর্ষককে কুপিয়ে আহত করে। এরপর অন্য ৩ ধর্ষক আহতকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের শোর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে।
প্রতিবেশী সুলতান আহমদ জানান, সন্ত্রাসীরা পালানোর সময় তারা পশ্চিম শুল্লকিয়ার হদি মিয়ার ছেলে সুলতান আহমদকে আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় এবং একই গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে কামাল হোসেনকে পালিয়ে যেতে দেখেছে।
সে আরো জানায়, প্রতিবেশী রিকশাচালক আবুল কাশেম তাকে জানিয়েছে সে আহত সুলতান আহমদকে তার রিকশায় করে ভোরে একই থানা এলাকার খলিফারহাট এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে এসেছে। প্রতিবেশীদের সহয়তায় ধর্ষিতা (৩০) ও তার স্বামী আবদুর রহিম (৩৮)কে গতকাল দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে । পরে ডাক্তার এসে তাকে ২নং গাইনি ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। তার হাসপাতালে ভর্তির রেজি. নং ৫২৫৬/৪। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. খলিল উল্যাহ জানান, ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে পুলিশ রিকুইজিশন দিলে ধর্ষণের ব্যাপারে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয়া হবে। সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন গনমধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। তারপরও খবর পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেছে্ন।
Leave a Reply