নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রী কে অপহরনের ঘটনায় মাইন উদ্দিন মুন্না (৩২) নামের এক চিকিৎসককে আটক করেছে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীর আলীপুর গ্রাম থেকে মুন্নাকে গ্রেফতার ও গৃহবধুকে উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, সোনাইমুড়ী উপজেলার নাওড়ী এলাকার প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী (২২) চৌমুহনী ক্লাসিক হাসপাতলে প্রায়ই চিকিৎসা সেবা নিতে যেতেন। এ সময় বেগমগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের রফিক উল্যার ছেলে ও চৌমুহনী ক্লাসিক হাসপাতালে পিজিও থেরাপিস্ট মাইন উদ্দিন মুন্না তাকে উত্যক্ত করত ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এর জেরে ক্ষিপ্ত মুন্না গত শুক্রবার রাত ৯টার সময় তার সহযোগিদের নিয়ে একটি সাদারঙের প্রাইভেট কারে পরিবারের লোক জনের সামনে থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গৃহবধুকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৃহবধুর পিতা সোনাইমুড়ী থানায় গত বুধবার মুন্নাকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ৩-৪ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অপহরন মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার সূত্র ধরে ও মুঠো ফোনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে অপহরনকারী মুন্নার বোনের বাড়ী বেগমগঞ্জ উপজেলার মিল আলীপুর থেকে গৃহবধুকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে।
অপহৃত গৃহবধুর স্বজনরা জানান, অপহরনের পর মুন্না গৃহবধুকে আটক রেখে একাধিক বার ধর্ষন করেছে। তারা মুন্নার উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী থানার এস আই ফারুক জানান, প্রবাসীর স্ত্রী মুন্নার প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই অপহরন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুস সামাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের ব্যাপারে তথ্য নিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালানো হবে। উদ্ধার হওয়া গৃহবধুকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ২২ ধারা জবানবন্দির জন্য জেলা জজ আদালতে পাঠানো হবে।