দেশের সকল জেলখানায় ২০০ বছরের পুরনো সকালের নাস্তার মেনু পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশের জেল কর্তৃপক্ষ। দেশের কারা ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার থেকে নতুন মেনু চালু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন একজন কর্মকর্তা।

কারাগারের মহাপরিচালক বজলুর রশিদ গনমাধ্যমকে জানান , ১৮ শতকের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের দ্বারা মেনুতে রুটি এবং গুড়ের বদলে ৮১ হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে ররিবার থেকে উন্নত নাস্তা দেয়া হচ্ছে।

রশিদ এএফপিকে বলেন, নতুন খাদ্য তালিকায় রয়েছে রুটি, সবজি, মিষ্টি এবং খিচুড়ি। তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী, পূর্বে বন্দীদের মাত্র ১১৬ গ্রাম পরিমাণ রুটি এবং ১৪.৫ গ্রাম গুড় দেওয়া হতো।

৩৫ হাজার বন্দীর জন্য নির্মিত হয়েছে ৬০ টি কারাগার। কিন্তু অতিরিক্ত বন্দী রাখার জন্য এগুলোর কুখ্যাতি রয়েছে। এ নিয়ে প্রায়শই অধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনা করে।

কারাগারগুলিতে জেলে পরিবেশিত খাদ্যের পরিমাণ এবং পরিমাণ সম্পর্কেও অনেকেই অভিযোগ করেন। রশিদ বলেন, খাদ্য পরিবর্তনের একটি ধারাবাহিক সংস্কারের অংশ। এর উদ্দেশ্য “বন্দীদের অনুপ্রেরণা ও পুনর্বাসনে সহায়তা করা”।

তিনি বলেন, “আমরা ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি …যাতে অপরাধীরা জেলে থাকার সময় নিজেদেরকে সংশোধন করতে পারে”।

রশিদ জানান, রবিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন ব্রেকফাস্ট মেনুতে খাবার দেয়ার পর কয়েক হাজার বন্দীকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। তিনি বলেন, “ভাল খাবার সবাইকেই সুখী করে।”

কর্মকর্তারা জানান, কারাগারে বন্দীদের জন্য সস্তায় টেলিফোন সেবাও চালু করেছে সরকার। যখনই বন্দীরা চায় তখন ফোনের মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে।