অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ মে ১২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 778 বার
ধানমন্ডিতে আলোচিত জুলহাস মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তন্ময় হত্যাকান্ডের তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী আজ (১২ মে ২০১৯) অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোজিম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি )। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
অভিযুক্তদের মধ্যে- গ্রেফতারকৃত ০৪ জন হলো- ১। মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) ( সে আনসার আল ইসলামের মিডিয়া শাখার প্রধান এবং ইন্টেলিজেন্স সদস্য) ২। মোঃ আরাফাত রহমান ( সামরিক শাখার সদস্য ও সমন্বয়ক) (২৪) ৩। শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) (ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রধান) ও ৪। আসাদুল্লাহ (২৫) ( সামরিক শাখার সদস্য)।
মামলার পলাতক আসামী ৪ জন যথাক্রমে ১। সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর) (৪২) ২। আকরাম হোসেন (৩০) ৩। সাব্বিরুল হক চৌধুরী (২৬) ও ৪ মোঃ জুনাইদ আহমদ ওরফে মাওলানা জুনেদ আহম্মদ ওরফে জুনায়েদ (২৬)।
মামলাটি তদন্তকালে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পায় সিটিটিসি। ঘটনায় সম্পৃক্ত অপর ০৫ জন আসামীর শুধুমাত্র সাংগঠনিক নাম জানা যায়, পূর্নাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের অদূর ভবিষ্যতে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত ৪ জন বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সংশ্লিষ্টা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামীদের জবানবন্দি এবং অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত আসামীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলামী বিভিন্ন পর্যায়ের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনের নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকুরিচ্যুত মেজর) এর নির্দেশে সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্যরা এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
উল্লেখ্য, গত-২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ রাজধানীর ৩৫ নং উত্তর ধানমন্ডি ঠিকানায় ইউ এস এইড, ঢাকায় কর্মরত জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তন্ময়কে সন্ত্রাসীরা নৃসংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনা সংক্রান্তে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। প্রাথমিকভাবে ডিএমপি’র ডিবি মামলাটি তদন্ত করে। পরবর্তীতে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ, সিটিটিসি তদন্তভার গ্রহণ করে এবং ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে।সূত্র-ডিএমপি নিউজ
Leave a Reply