ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ৫০ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননী চাচি ৩৮ বছর বয়সী ভাতিজার হাত ধরে পালিয়ে গেছেন । পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি স্বর্নালঙ্কারও নিয়ে গেছেন তিনি। উপজেলার খারদিয়া ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভাতিজার হাত ধরে ৫০ বছর বয়সী চাচির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী উজিরপুর গ্রামের জিয়ারুল শেখের স্ত্রী হেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মৃত আ. মাজেদ ফকিরের ছেলে সোহেল রানা ফকিরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্কে তারা চাচি-ভাতিজা। ১ মে কাউকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যান হেমা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায় ভাতিজা সোহেল রানা ফকিরের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন হেমা। সেই সঙ্গে সোহেল রানাকে বিয়ে করে তার বাড়িতে রয়েছেন তিনি।

এদিকে, সোহেল রানা স্থানীয় এক হাফেজের মেয়েকে বিয়ে করলেও পরকীয়ার জালে আটকে যান। এ অবস্থায় আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে হেমাকে বিয়ে করেন সোহেল রানা।

বিষয়টি স্বীকার করে সোহের রানা ফকির বলেন, আমরা কোর্ট ম্যারেজ করেছি। আমাদের দুইজনের সম্মতিতে আমরা সব কিছু করেছি। স্ত্রী হিসেবে হেমা বেগম এখন আমার বাড়িতেই রয়েছে। আমরা ভালো আছি।

স্থানীয়রা জানান, হেমা বেগমের প্রথম সন্তান অর্থাৎ মেয়ে সুমি আক্তার বিবাহিত এবং এক সন্তানের জননী, বড় ছেলে নাজমুল শেখ এবার এসএসসি পরীক্ষা দিলেও পাস করতে পারেনি আর তৃতীয় ছেলে সালাউদ্দীন জেএসসি পরীক্ষার্থী।
এদিকে হেমা বেগমের বড় ছেলে নাজমুল শেখ জানায়, মায়ের কারণে আমি লেখাপড়া ঠিকমতো করতে পারিনি। আমার বাবার এত কষ্টের অর্জিত সম্পদ নিয়ে অন্যের হাত ধরে চলে গেছে মা। আমরা লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না।