রোহিঙ্গাদের জন্য সাড়ে ১৬ কোটি ডলার অনুদান দিবে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৩৮২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। জরুরী ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ খরচ করা হবে। বুধবার (৮ মে) এ সংক্রান্ত একটি অনুদান চুক্তি সই হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের এ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চ্যান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহিদুল হক, যুগ্ম সচিব আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৮-৭৯, ১৯৯১-৯২ এবং অক্টোবর ২০১৬ এ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক স্থানচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেন। এরপরেও ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে জোর পূর্বক ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে বাংলাদেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু ও পরিবেশ, জীব-বৈচিত্র্য ও স্থানীয় পর্যায়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে। এজন্য, তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার একটি চিরস্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান।

ড্যান ড্যান চ্যান বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দুই বছর আগে সহিংসতার শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ আসে। রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠির সহায়তার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পের আওতায় স্থানচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির (এফডিআরপি) মৌলিক পরিসেবাদি ও প্রবেশাধিকার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারের প্রচলিত দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, রাস্তা নির্মাণ, সড়কবাতি ও বজ্র-নিরোধ ব্যবস্থা স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ এবং সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা।