বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সংসদে যোগদানের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা অতীতে যে বলেছিলাম আমরা যাবো না সেই সিদ্ধান্তটি আমাদের ওই মুহূর্তে সঠিক ছিল না। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই।

রোববার (৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তিনতলায় সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম আয়োজিত বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে দেওয়া হচ্ছে। জামিন পাওয়ার যোগ্য হলেও ভয়ে তাকে জামিন দিচ্ছে না। কারণ সরকার জানে দেশনেত্রী বেরিয়ে এলে হ্যামিলনের বাঁশির মতো মানুষ বেরিয়ে আসবে। তিনি এতোই অসুস্থ, তার জরুরি চিকিৎসা দরকার। আমি বলতে চাই কারাগারে খালেদা জিয়ার যদি কিছু ঘটে তাহলে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব এই সরকারকে বহন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের লড়াইটা করতে হবে সব জায়গা থেকে। সংগ্রাম করতে হবে। পথ বের করে নিতে হবে। ভেতরেও কথা বলতে হবে, বাইরেও বলতে হবে। শুধু নেগেটিভ চিন্তা করলে এগোনো যাবে না। পজিটিভ চিন্তাও করতে হবে।

‘প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু দলের লড়াকু সৈনিক ছিলেন। সেজন্য তাকে টার্গেট করে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। পিন্টু ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব প্রিয় ছিল। আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পরে জেলখানায় তার নামে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করাই তার জন্য কাল হলো।’
উল্লেখ্য,কারচুপি-অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রত্যখ্যান করে ক্ষমতাসীন সরকারকে বারবার অবৈধ দাবি করা এ দলটির নির্বাচিত ছয় সংসদ সদস্য সম্প্রতি শপথ গ্রহণ করেছেন।

ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত বিএনপির জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথ গ্রহণ করার পর তাকে গণদুশমন হিসেবে আখ্যা দেয় বিএনপি। পরে তাকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

মির্জা ফখরুল ছাড়া আরও নির্বাচিত চার সাংসদ যাতে শপথ গ্রহণ না করে সে বিষয়েও তৎপরতা চালাতে দেখা যায় বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্তেই বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত ফখরুল ছাড়া তাদের অন্য সবাই শপথ গ্রহণ করেন।