কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মো: মাহফুজুর রহমান (২১) নামের এক ইমামের বিরুদ্ধে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় পুলিশ মো. মাহফুজুর রহমান (২১) নামে ওই ইমামকে আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে।
কিশোরীকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমামের থাকার রুমে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনা জানাজানির পর শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন মাহফুজুর।

অভিযুক্ত ইমাম দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের (আবুল বাড়ির) মো. সাইদুল ইসলাম ছেলে। তিনি দেবিদ্বার থানাধীন ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘তার মেয়ে তাদের পুরনো বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। পথে প্রায় সময়ই ওই ইমাম তাকে উক্ত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন সকালে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে নিজের রুমে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।’
ভিকটিমের মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে আর লেখাপড়া করে না। সে বাড়িতেই থাকে এবং গৃহস্থালীর কাজ করেন। পরে ওই কিশোরী বাড়ি যেয়ে তার মায়ের কাছে গোপনাঙ্গে রক্তপাতের কথা বললে তিনি দ্রুত মেয়ের বাবাকে জানান। এরপর ওই কিশোরীর বাবা-মা তাকে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে আশংকাজনক অবস্থায় নিয়ে এলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। মেয়েটির যৌনাঙ্গে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।

দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখানে আনারা পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ওই কিশোরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’