কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ১২.৪০ মিনিটে থাকে কারাগারের একটি গাড়িতে করে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিতে রাজি হয়েছেন। চিকিৎসক চাইলে তাকে ভর্তি করা হতে পারে।

এর আগে সোমবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিএসএমএমইউর পথে রওনা হয়। ২০ মিনিটেই গাড়িবহর হাসপাতালে পৌছে যায়। সেখানে খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে প্রয়োজনে তাকে সেখানে ভর্তিও করা হতে পারে। কারাগার ও হাসপাতালসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কারাসূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ব্যবহার্য জিনিসপত্র ইতিমধ্যে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, খালেদার জন্য ৬২১-৬২২ নম্বর কেবিন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ অন্যান্য নেতা উপস্থিত হয়েছেন।

খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি কালো গ্লাস লাগানো কালো গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও। হাসপাতাল এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাসপাতালের সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের পাশে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা অবস্থান নেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হাতে হাত রেখে নিরাপত্তা ব্যারিকেড তৈরি করেন কেবিন ব্লকের সামনে। সেখানে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান, কারা কর্তৃপক্ষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়াকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই সেখানে একটি হুইলচেয়ার তৈরি করে রাখা হয়।
আজ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য দিন থাকলেও তিনি সেখানে হাজির হননি। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ এপ্রিল দিন রাখা হয়েছে।

শুনানি থেকে বেরিয়ে কারাগারের সামনে গণমাধ্যমের কাছে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ খান বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি। এ মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ এপ্রিল।’

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছিলেন, আজ খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাবেন। পরে এই মামলার শুনানি হবে