ফাগুনের প্রথম বৃষ্টি অমর একুশে বইমেলা ২০১৯ এর প্রকাশকদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।ভিজে যাওয়া শত শত বই নিয়ে কথা বলার ভাষাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে, বাকরুদ্ধ প্রকাশকগণ।
ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়েছে বৃষ্টি।

রোববার সকাল থেকে ঢাকায় নামে মুষলধারে বৃষ্টি। সঙ্গে শিলাঝড়ও। সেই বৃষ্টিতে প্রকাশকদের কষ্টের প্রকাশনা এক একটি বই ভিজে একাকার। নিমেষেই যেনো স্বপ্ন চুরমার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাপ্রকাশের কর্ণধার ইঞ্জিনিয়ার মেহেদি হাসান বলেন, এভাবে প্রতিবছর একুশে মেলায় প্রকাশকদের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়।

এবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৩ লাখ বর্গফুট জায়গায় চারটি স্তরে মেলার বিস্তার ঘটলেও সবাই বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ। একাডেমি প্রাঙ্গণে এক হাত সমান পানি।

পানিতে বই ভিজে বেহাল অবস্থায় ২৪টি প্যাভেলিয়ন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৬২০টি ইউনিট, ৪৯৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ৭৭০টি ইউনিট স্টল।

লিটন ম্যাগাজিন চত্বরের অবস্থা আরও করুণ। ভিজে যাওয়া বই কে কিনবে? প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি বৃষ্টির কবল থেকে মেলা রক্ষায় কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্থ প্রকাশকরাই, বরাবরের মতো।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকায় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মেলা চত্ত্বরে মাইকিং করে সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন। তবে প্রকাশকদের যথাযথ প্রস্তুতি না থাকায় ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে বলে মনে করেন প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ।