বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে এখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৩৫ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হচ্ছে। এ আলু কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হলেও তার উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছে না কৃষক। আমাদের দেশে আলুর ব্যবহার সীমিত। ভাতের পরিবর্তে আলুর ব্যবহার যদি বৃদ্ধি করা যেতো তাহলে দেশ উপকৃত হতো। বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত আলুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদিত আলু বিদেশে রফতানির ব্যবস্থা করা হবে।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ কোল্ড ষ্টোরেজ এসোসিয়েশনের ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অনেক সমস্যা চিহ্নিত করেছে। এ গুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে। বিক্রয়ের অভাবে অনেক সময় আলু নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে কৃষক ও কোল্ড ষ্টোরেজের মালিকও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিষয়গুলো মাথায় রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে আলু বাংলাদেশের একটি মূল্যবান কৃষি পণ্যে পরিণত হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত আলু বিশ্ববাজারে গ্রহণযোগ্য করে উৎপাদনের জন্য গবেষণা করা হবে। উৎপাদিত আলুর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। সরকার আলু উৎপান ও রপ্তানিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। সংগত কারণে দিন দিন দেশে আলুর উৎপাদন বাড়ছে। আলু রপ্তানি ক্ষেতে নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় চাউলের পাশাপাশি আলু দেওয়া দাবী উঠেছে। সরকার উৎপাদিত আলু যাতে নষ্ট না হয় এবং কৃষকেরা উপযুক্ত মূল্য পান সে বিষয় মাথায় রেখেই সরকার কাজ করবে।

বাংলাদেশ কোল্ড ষ্টোরেজ এসোসিয়েমনের প্রেসিডেন্ট মো. মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রথম ভাগে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এসোসিয়েশনের প্রথম সহ-সভাপতি ড.কামরুল হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির পরিচালক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।