জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 486 বার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ছয়দিনের সফরে জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন।গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান।
মিউনিক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি প্রথমে জার্মানি যাবেন। জার্মানি থেকে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে ৫৫তম সম্মেলনে অংশ নেবেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
মিউনিখ সম্মেলনে বিশ্বের ২৫ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ বিপুল সংখ্যক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
ড. মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে নিরাপত্তা হুমকি’ ও ‘স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক’ সংক্রান্ত দুইটি সেশনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় বিশ্বের দেশগুলোর প্রাপ্তি, সম্মেলনে দাতা দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন অঙ্গীকারসহ বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য পরিবেশ, উদ্বাস্তু ও অভিবাসন বিষয় স্থান পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মিউনিখ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে বিশ্বের শক্তিশালী দেশসমূহের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি জানার সুযোগ তৈরি হবে। বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, বিশ্ব মেরুকরণের মাত্রা ও প্রবণতা সম্পর্কেও ধারণা লাভ করা যাবে।
এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করবে। উজ্জ্বল হবে দেশের ভাবমূর্তিও। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, জার্মানভিত্তিক কোম্পানি সিমেন বাংলাদেশে বিদ্যুৎখাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে। সম্মেলনে যোগদানকালে এ বিষয়ে যৌথ উন্নয়ন চুক্তি (জেডিএ) সই হতে পারে।
তিনি বলেন, জার্মানির পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন তিনি।
Leave a Reply