কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে নিজের নাতির ছুরিকাঘাতে নানা মজিবুর রহমান (৭৫) নিহত হয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্ত নাতি নাঈম (২১) ও নিহতের পুত্রবধু সামিয়াকে (৩৪) আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে , রোববার দিবাগত রাতে আটক নাঈমের সাথে তার মামী সামিয়ার পরকিয়ার সম্পর্ক দেখে ফেলায় মজিবুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে নাঈম।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম সব ঘটনা স্বীকার করেছে বলে নিশ্চিত করে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই নিহত মজিবুর রহমানের বড় মেয়ের বড় ছেলে নাঈমের সাথে মেজ ছেলের স্ত্রী সামিয়ার মধ্যে পরকিয়ার সম্পর্ক চলছিল।

রোববার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি এসে নাঈম নানা বাড়ি যায়। মেজ মামা মাসুদের অনুপস্থিতিতে সে তার স্ত্রী সামিয়ার ঘনিষ্ট হয়। এসময় নানা মজিবুর রহমান দেখে তা ফেলেন। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাবে এই ভয়ে নাঈম তার নানাকে ঘর থেকে বারান্দায় বের করে এনে বুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

বাড়ির অন্যরা মজিবুর রহমানকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই নাঈমের নিজবাড়ী কুমারখালী থেকে তাকে আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তিতে সামিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা ওসি।