জেলা সংবাদ | তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 570 বার
ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নৌকার প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সিংহ প্রতীকের সর্মথকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খামিনারবাগ গ্রাম থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সংঘর্ষে কাজী জাফরউল্লাহর সমর্থকদের একটি গাড়ি ভাঙচুরসহ তার অন্তত ১০ সমর্থক আহত হন। গুরুতর আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার অমিদ জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য টিপু, নুর আলম শেখকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষে চলাকালে ঘারুয়া বাজারে উভয় গ্রুপের দুটি নির্বাচনী প্রচার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পরলে সন্ধ্যা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা হাসপাতাল গেট ও ঢাকা-খুলনা বিশ্বরোডের পৌরসভা ভবনের সামনের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। অপরদিকে সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থক শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেন।
এতে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় গ্রুপের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে রাত ৮টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করাতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে বাকি মেম্বারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় গাড়িবহর সহকারে তার নেতাকর্মীরা তার সাথে ছিলেন।
অপরদিকে একই এলাকার খামিনার বাগ গ্রামে ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহিন শেকের ছোট ভাই নুর আলমের বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজী জাফরউল্লাহ যোগ দেনে। উভয়ের গাড়ি বহর সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক থেমে গেলেও দুই নেতা এলাকা ত্যাগ করার পর উভয় দলের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের কর্মীদের আহত করার প্রতিবাদে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড়ে সড়কে টায়ার জালিয়ে অবরোধ করে। এই নিয়ে আবারো উত্তেজনা ছাড়ায়।
এদিকে এই ঘটনার পরে এই সংসদীয় আসনে তিন উপজেলায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ মোতায়েন করি। এবং উভয় গ্রুপের সমর্থকদের শক্ত অবস্থানে থাকায় দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ ছিল। তাদের সাথে আলোচনা করে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করাতে সক্ষম হই।
Leave a Reply