অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ নভেম্বর ২৯, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 603 বার
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহার করে অভিনব কায়দায় প্রতারণায় জড়িত ১৫ বিদেশিকে আটক করেছে র্যাব-১।
বুধবার দিনগত রাতে অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, এক বিশেষ অভিযানে তাদেঙ্কে আটক করা হয়। বিদেশিরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় প্রতারণার ও অর্থ আত্মসাৎ করত।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান মুফতি মাহমুদ খান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উগান্ডার মুকি মাইকেল (৩৮), পেট্রিক এমবাজারিয়া (৩২), তানজানিয়ার ক্যাটেরুয়া এমলাভস, সারমেন্টো রেবেকা, নাইজেরিয়ার ইজিকুকওয়া (৩২), ওনকুওরা চুকুনোস (২২), অলুবোওয়াল (২৭), প্রমিস ওনিইনিচেকউকওয়া ইকবোয়াকাবা (২৯), নেইগোনু আমাদি (২৮) ডোনেটস (৩৪), ক্রিস্টিওয়া এনওয়ালুদু (৩৪), ক্যামেরুনের দিদি ন্যায়া (৪৬), কংগোর ইলুংগা ক্রিটিয়ান এবং লাইবেরিয়ার জিওর্যাগ ম্যাথিউ (৩৮)।
তাদেরকে আটকের সময় ২৯টি মোবাইল, ২টি ল্যাপটপ, নগদ ১ লাখ ৫৮৫ টাকা ও ১ হাজার ১৩ ডলার জব্দ করা হয়। এসময় তাদের কারও কাছে বৈধ কোনো ভিসা ছিলনা। তাদেরকে আটকের সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ও তাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নাম্বার পাওয়া যায়।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, এই চক্রের সদস্যরা উগান্ডার মার্ক নামে একজনের সহযোগিতায় এদেশে প্রবেশ করে। তারপর তারা ১০/১২ জনের বিভিন্ন গ্রুপ গড়ে সেসব গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছে। তারা ফেসবুকে বিভিন্ন ভুয়া নামে অ্যাকাউন্ট খুলে বিদেশী বড় বড় সংস্থার পরিচয় দিয়ে দেখা করতো। পরে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতো। তাদের কেউ কেউ আবার আফগানিস্তানের যুদ্ধরত নারী ও পুরুষের পরিচয় কিংবা জাতিসংঘের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এদেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের নানা সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে উল্টো অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিত বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশের উচ্চবৃত্ত মানুষদের টার্গেট করে ফোন দিত। তারপর তাদের সঙ্গে একসময় সখ্যতা গড়ে তোলে তাদেরকে ফোন দিয়ে বলতো তার জন্য একটা বিশেষ উপহার পাঠানো হয়েছে তার বন্ধুকে দিয়ে। এরপর তার ওই বন্ধু টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বিদেশে অবস্থানরত বন্ধুর পরিচয় দিয়ে জানাতো তার জন্য বিদেশ থেকে পাঠানো উপহার সামগ্রী কাস্টমসে আটক আছে, যা ছাড়ানোর জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন। এরপর টার্গেটকৃত ব্যক্তি একথা শুনে তাদের কাছে অর্থ পাঠালে তারা সেটি নিয়ে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দিতো। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রতারণা করে আসছিল বলে জানান র্যাব-১ এর কর্মকর্তা।
Leave a Reply