কুমিল্লার চান্দিনায় আট বছরের শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষক মামুনুর রশিদকে (৩৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের আলীকামোড়া দারুল কোরআন কমপ্লেক্স থেকে আটক করার পর রাত ১২টায় তাকে পুলিশে দেয়া হয়।

আটক মাদ্রাসা শিক্ষক মামুনুর রশিদ চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত শরফত আলীর ছেলে। আহত মাদ্রাসা ছাত্র সায়মন হোসেন উপজেলার আলীকামোড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। সে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেছে আহত শিক্ষার্থীর বাবা মনির হোসেন।
মনির হোসেন অভিযোগ করেন, গত ১২ নভেম্বর ওই মাদরাসায় চাকরি নেয় শিক্ষক মামুনুর রশিদ। কওমি মাদরাসা হিসেবে সকল ছাত্র মাদরাসায় থাকে। বুধবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে শিক্ষক মামুনুর রশিদ আমার ছেলেকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এতে মারাত্মক আহত হয় আমার ছেলে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আমার ছেলে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে দুপুর ১২টায় বাড়িতে এসে বিষয়টি আমাদের জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা মাদরাসা থেকে শিক্ষক মামুনুর রশিদকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে মাথার চুল কেটে দেয়। রাতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ তাকে পুলিশে দেয়।

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল ফয়সল জানান, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ঘটনা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।