ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তিন মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মো. হোসাইন আহাম্মদ (২১) নামে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের চৌবেপুর সামছুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

হোসাইন উপজেলার কুটি ইউনিয়নের চৌবেপুর সামছুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং চাঁদপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সৈয়দ মোল্লার ছেলে।

বলাৎকারের শিকার তিন মাদ্রাসা ছাত্রকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। ওই তিন শিশু মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

এ ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিভাবকরা জানায়, এক ছাত্র কিছুদিন মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিল না। তার মা মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য চাপ দিলে, তার ও আরও দুই ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষকের বলাৎকারের ঘটনা খুলে বলে। ছাত্রের মা তার বাবাকে জানান।

এরপর ছাত্রের বাবা মাদ্রাসা সুপারকে বিষয়টি জানালে মাদ্রাসা সুপার ওই তিন ছাত্রের কাছ থেকেও ঘটনার বিস্তারিত জানেন। পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে শিক্ষক হোসাইনকে আটক করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষক হোসাইন তিন ছাত্রকে বিগত কয়েক দিনে ভয় ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার বলাৎকার করেছেন বলে স্বীকার করেন।

মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে। আইনের মাধ্যমে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক। আমি নিজে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’