বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে রাজধানীতে আজ বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। সোমবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে এ রায় ঘোষণার পরপরই নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ সময় রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে তারা। সরকারের নির্দেশেই এই রায় বলেও অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে নাইটএঙ্গেল মোড় হয়ে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

এর আগে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ট্রাস্টের নামের ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।

এ মামলায় ২০১২ সালর ১৬ জানুয়ারি বেগম জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এর দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচার শুরুর পর রাষ্ট্রপক্ষে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার কারাদণ্ড হলে থমকে যায় এ মামলার বিচারকাজ। প্রায় সাতমাস পর গত ৪ সেপ্টেম্বর পুরনো কারাগারে আদালত স্থানান্তর পর আবার সচল হয় এ মামলার কার্যক্রম। ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হন বেগম জিয়া। হাজির হয়ে জানান, তিনি আর আদালতে আসতে পারবেন না। এরপর, পরপর দুই কার্যদিবস আদালতে যাননি বেগম জিয়া।

এমতাবস্থায় বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার আদেশ দেন বিচারিক আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলেও হেরে যান বেগম জিয়া। তারপরও মামলার শুনানিতে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা অংশ না নেয়ায় গত ১৬ অক্টোবর বিচারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে ২৯ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলায় মোট ৪ জন আসামির মধ্যে বেগম জিয়া জামিনে ছিলেন। তৎকালীন বেগম জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন এবং অপর দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খান রয়েছেন কারাগারে।