জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী রাশিচক্রে কিছু নির্দিষ্ট গ্রহাবস্থান তথা গ্রহযোগ থাকলে জাতক বা জাতিকা ধনী হতে পারেন।

রাশিচক্রের গ্রহাবস্থান দেখে নেওয়া যাকঃ—

• রাশিচক্রে দ্বিতীয়ভাবে দ্বিতীয়পতির অবস্থান বা দৃষ্টি।

• একাদশভাবে একাদশপতির অবস্থান তথা দৃষ্টি, দ্বিতীয়, একাদশ, দশম ভাবে শুভ বৃহস্পতি, শুক্র বা শুভ শনির যোগাযোগ ধনলাভে সাহায্য করে।

• লগ্নে দ্বিতীয়, একাদশ বা দ্বিতীয় এবং একাদশপতির মধ্যে শুভ যোগাযোগ তৈরি হলে তা আর্থিক দিক থেকে খুবই শুভ।

• দ্বিতীয় ও একাদশপতির মধ্যে যদি ক্ষেত্র বিনিময় হয় তবে আর্থিক দিক থেকে সেটাও শুভ লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়।

• যাদের হাতের পাতায় শুক্র ও বৃহস্পতির স্থান বেশ ভালো অর্থাৎ ফোলা, চকচকে, কাটাকুটি বর্জিত তথা শুভ চিহ্নযুক্ত হয়ে থাকে তাদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালও হয়ে থাকে।

• ভাগ্যরেখা কোনওভাবে ক্রটিযুক্ত হয়ে থাকলে এবং অশুভ গ্রহের দশা বা অন্তর্দশা চললে মাঝেমধ্যে সময় খারাপ যেতে পারে।

অপর দিকে ব্যয় যোগ দেখে যাকঃ-

অপর দিকে দ্বাদশপতির সাথে দ্বিতীয় পতি বা দ্বিতীয় ভাবের যোগাযোগ হলে ব্যয় বাড়ে। এর সাথে দ্বিতীয় বা একাদশপতিও যদি দুর্বল বা অশুভ হয়ে থাকে তবে আর্থিক দুর্বলতা অর্থাৎ দারিদ্রযোগের সম্ভাবনা থাকে।

দ্বিতীয় বা একাদশ ইত্যাদি স্থানে রবি-শুক্র, বৃহস্পতি-শুক্র, রাহু-বৃহস্পতি এবং রাহু-শুক্রের যোগ সৃষ্টি হলে দারিদ্রযোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

রাশিচক্রে ধনযোগ বা দারিদ্রযোগ যাই থাকুক না কেন মানুষ মাত্রই কায়মনোবাক্যে আর্থিক উন্নতি চায়। টাকায় অরুচি উচ্চকোটির সাধুসন্তদের হতে পারে, তবে সাধারণ মানুষের প্রতি পদে অর্থের প্রয়োজন পড়ে।