আজ লক্ষ্মী পূজা। কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর আরাধনায় সেজে উঠেছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়। মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গেই গৃহস্থের আঙিনায় আজ শোভা পাচ্ছে চালের গুঁড়ো, আলপনায় লক্ষ্মীর ছাপ।
লক্ষ্মী মানে শ্রী, সুরুচি। লক্ষ্মী সম্পদ আর সৌন্দর্যের দেবী। বৈদিক যুগে মহাশক্তি হিসেবে তাকে পূজা করা হতো। তবে পরবর্তীকালে ধনশক্তির মূর্তি নারায়ণের সঙ্গে তাকে জুড়ে দেওয়া হয়। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই পূজা করে থাকেন।
এ উপলক্ষে হিন্দু রমণীরা উপবাসব্রত পালন করেন। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রজ্বালন করা হবে প্রদীপ। হিন্দুশাস্ত্র মতে, কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে ভক্তগৃহে পূজা নিতে আসেন।
প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবাই দেবীকে পূজা দিয়ে আসছেন। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসে লক্ষ্মীদেবী দ্বিভুজ।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তিথি শুরু হয়ে শেষ হবে বুধবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। এ সময়ের মধ্যেই পূজা সম্পন্ন করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, রামসীতা মন্দির, পঞ্চানন্দ শিব মন্দির, গৌতম মন্দির, রাধামাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দিরসহ দেশের অনেক মন্দিরে এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করা হয়েছে।