ধর্ষণের অভিযোগের সপক্ষে যেসব প্রমাণ দেখানো হচ্ছে তাকে বানানো বলে দাবি করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তিনি বলেন, লাস ভেগাসে তখন যা হয়েছিল সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। সেখানে যা হয়েছে তা সম্মতিতেই হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪ বছর বয়সী নারী ক্যাথরিন মায়োর্গা অভিযোগ করেছিলেন। ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে একটি হোটেলে রোনালদো তার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন বলে অভিযোগ ওই নারীর। পুলিশে অভিযোগ করলেও তদন্ত না করে ২০১০ সালে আদালতের বাইরে তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলারে তা মীমাংসা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জার্মানির একটি সাপ্তাহিকে প্রকাশের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরও সেই পত্রিকায় এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়ে আসছে। এখন রোনালদোর পক্ষ থেকে ঘটনা স্বীকার করে নেয়া হলো পরোক্ষভাবে।

তবে ঘটনার সপক্ষে দায়ের করা নথিপত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই চুক্তির বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, একটি গণমাধ্যম দায়িত্বহীনভাবে এমন সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে, যা চুরিকৃত এবং ডিজিটাল উপায়ে সহজেই তৈরিকৃত নথির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার গুরুত্বপূর্ণ অংশই পরিবর্তিত বা সম্পূর্ণ তৈরিকৃত।

আইনজীবী বলছেন, রোনালদো চুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তবে যেসব কারণ এর পেছনে বলা হচ্ছে তা অন্তত বিকৃত। চুক্তির অর্থ এই নয় যে তিনি দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।