অর্থনীতি | তারিখঃ আগস্ট ৩১, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1261 বার
আপনি যদি সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন অথবা ব্যবসায়ী হন এবং আপনার বাৎসরিক আয় যদি আড়াই লক্ষ টাকার অধিক হয় তবে আপনাকে অবশ্যই ই-টিআইএন(eTIN) নাম্বার গ্রহণ করে নিবন্ধিত হতে হবে।
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর আওতায় আয় ন্যূনতম করমুক্ত আয়েরসীমা (২ লক্ষ ৫০ হাজার) অতিক্রম করলে রিটার্ন দাখিলের জন্য একজন করদাতাকে জাতীয় রাজস্ববোর্ডের অন্তর্গত কোন আয়কর কমিশনারের অধীনঅস্থ সার্কেল থেকে ১২ ডিজিটের ই-টিআইএন অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর নিতে হয়। এটা আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করন। একজন করদাতাকে আয়কর নিবন্ধন নম্বরের মাধ্যমে করদাতা হিসাবে সনাক্ত করা হয়। নিবন্ধিত করদাতা বছর শেষে রিটার্ন জমা দেওয়ার মাধ্যমে বাৎসরিক আয়-ব্যয় ও সঞ্চয় বর্ণনা করেন। একজন করদাতা সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে ই-টিআইএন নিবন্ধন সেবা গ্রহন করতে পারেন। অনলাইনে ই-টিআইএন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া নিচে জানানো হলঃ
অনলাইনে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন/রি–রেজিস্ট্রেশনের জন্য যা প্রয়োজনঃ
প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিক:
জাতীয় পরিচিতি নম্বর/পাসপোর্ট নম্বর,পূর্বের (রি-রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে)
অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিক:
অভিভাবকের ১২ ডিজিটের টিআইএন (নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনকৃত), সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি, পূর্বের টিআইএন (রি-রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে)
প্রাপ্ত বয়স্ক বিদেশি নাগরিক:
পাসপোর্ট নম্বর, ভিসা নম্বর, ডিজিটাল ফরম্যাটে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি, পূর্বের টিআইএন (রি-রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে)
অপ্রাপ্ত বয়স্ক বিদেশি নাগরিক:
নিজের এবং অভিভাবকের পাসপোর্ট নম্বর, ভিসা নম্বর, ডিজিটাল ফরম্যাটে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি, পূর্বের টিআইএন (রি-রেজিস্ট্রেশনেরক্ষেত্রে)
লিমিটেড কোম্পানী:
কোম্পানীর ইনকর্পোরেশন নম্বর, তারিখ পূর্বের টিআইএন (রি-রেজিস্ট্রেশনেরক্ষেত্রে)
রেজিস্টার্ড ফার্ম:
রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস (RJSC) এর রেজিস্ট্রেশন নম্বর, রেজিস্ট্রেশন তারিখ , অংশীদারদের ১২ ডিজিটের টিআইএন (নতুন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনকৃত), পূর্বের টিআইএন (রি-রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে)
আন-রেজিস্টার্ড ফার্ম:
অংশীদারদের ১২ ডিজিটের টিআইএন (নুতন পদ্ধতি অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনকৃত), পূর্বের টিআইএন (রি-রেজিস্ট্রেশানের ক্ষেত্রে)
ব্যক্তিসংঘ , অবিভক্ত হিন্দু পরিবার:
ক্ষমতাবান ব্যক্তির ১২ ডিজিটের টিআইএন (নতুন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনকৃত), পূর্বের টিআইএন (রি-রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে)
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, আইনদ্বারা কৃত্রিম ব্যক্তিসত্ত্বা, কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ধারা ২(২০) অনুযায়ী গঠিত অন্যান্য কোম্পানি:
করদাতার প্রতিষ্ঠানের নাম , ঠিকানা ফ্যাক্স নম্বর ও মেইল আইডি (রেজিস্ট্রেশন ক্ষেত্রে), পূর্বের টিআইএন (রি-রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে)
নতুন পদ্ধতিতে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি রেজিস্ট্রেশনের শুরুতে প্রত্যেককে অবশ্যই একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
একাউন্ট তৈরির নিয়মঃ
• www.incometax.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন।
• হোম পেইজের Register বাটনে ক্লিক করলে রেজিস্ট্রেশন ফরম ওপেন হবে।
• ফরমে প্রদানকৃত আপনার মুঠোফোন নম্বরে তাৎক্ষনিককভাবে একটি কোড পোঁছে যাবে। পর্দাই প্রদর্শিত ডায়লগবক্স মুঠোফোনে প্রেরণকৃত কোডটি প্রদান করুন। এবার Active বাটনে ক্লিক করলেই পর্দায় দেখতে পাবেন “Welcome to Taxpayer’s Identification Number (TIN) Registration/Re- Registration”
• TIN Application মেন্যুতে ক্লিক করুন। এবার Registration/Re- Registration ফরমে প্রদর্শিত শূন্যস্থান পূরণ করে Go to Next চাপুন। নূতন করদাতাগণ Registration বাটনে এবং পুরাতন করদাতাগণ যাদের TIN নম্বর আছে তারা Re- Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে।
• Basic Information ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন এবং Go to Next বাটনে ক্লিক করুন।
• প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিকের (যাদের জাতীয় পরিচিতি নম্বর নেই) নতুন-ইটিআইএন রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এপর্যায়ে এসে ডিজিটাল ফরমেটে সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি আপলোড করতে হবে।
• Final preview তে ফরমে প্রদর্শিত আপনার দেয়া তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা , তা শেষবারের মতো যাচাই করুন।সব কিছু ঠিক থাকলে, Final preview এর একেবারে নীচে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিন।
• এরপর Submit Application বাটনে ক্লিক করলেই রেজিস্ট্রেশন/রি-রেজিস্ট্রেশনকারী নতুন ১২ ডিজিটের ই-টিআইএন। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী , যার জাতীয় পরিচিতি নম্বর নেই এবং যিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন/রি-রেজিস্ট্রেশন করতে চান তিনি একটি Ticket পাবেন। Ticket প্রিন্ট করে তাতে উল্লিখিত নিয়ম অনুসরন করে টিকেটে উল্লেখিত আয়কর কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
-সূত্র-ডিএমপি নিউজ
Leave a Reply