বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতির মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। মামলার বিচারক ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান ছুটিতে থাকায় আজ মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলাম শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেছেন।

মামলাটিতে গত ধার্য তারিখে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের আংশিক শুনানি হয়েছে। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন একই আদালত। এরপর গত ২ মার্চ দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল আসামি খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার অপর ২ আসামি বিচারকালীন মারা গেছেন।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।