অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি বাংলাদেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে সুমন মাহবুব লেখেন, ‘আমার বাবা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে মারা গেছেন।’ তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি হন মাহবুবে আলম। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাহবুবে আলমের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

মাহবুবে আলম ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের ত্রয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন।তিনি বাংলাদেশের ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।