কিশোরগঞ্জে অ্যাডভোকেট মোস্তফা আলম হিমেল নামে এক আইনজীবীকে অপহরণের অভিযোগে শিক্ষানবীশ আইনজীবী আফরোজা জামান রুনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে আইনজীবী রুনাকে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ২নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহীদুল ইসলামের খাস কামরায় মামলার নথি পাঠানো হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে শিক্ষানবীশ আইনজীবী আফরোজা জামান রুনাকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আইনজীবী মোস্তফা আলম হিমেলের সঙ্গে শিক্ষানবিশ আইনজীবী আফরোজা জামান রুনার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য রুনা বিভিন্ন সময় হিমেলকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু হিমেল বিয়ে করতে গড়িমসি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে হিমেলকে বিয়ে করার জন্য ঘটনার দিন সকালে রুনা কিছু লোকজন নিয়ে আইনজীবী মোস্তফা আলম হিমেলকে অপহরণ করে তার বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ হিমেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

আদালতের জিআরও নজরুল ইসলাম জানান, বিচারকের নির্দেশের পরই শিক্ষানবীশ আইনজীবী আফরোজা জামান রুনাকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোস্তফা আলম হিমেল তাকে অপহরণের অভিযোগ এনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। আফরোজা জামান রুনা ছাড়া বাকি তিন আসামি হচ্ছেন- তার বড় ভাই মো. রানা, প্রতিবেশী মো. সাফায়েত ও ইসফাম।

মামলার বিবরণে বাদী অ্যাডভোকেট মোস্তফা আলম হিমেল অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্মস্থলে আসার সময় জেলা জজ আদালতের মূল ফটকের সামনে থেকে আসামিরা তার পথ আটকে জোর করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে তাকে গাইটাল শ্রীনগর এলাকায় আফরোজা জামান রুনার বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঘণ্টা খানেক পর আফরোজা জামান রুনার বাসা থেকে মোস্তফা আলম হিমেলকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে উদ্ধারের পর অ্যাডভোকেট মোস্তফা আলম হিমেল অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।উৎস -সমকাল