মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। তারা দেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করতে চেয়েছিল।
গতকাল শনিবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলনকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাড়াতে না পারে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ঘাতকেরা ১৫ আগস্ট অন্তসত্তা নারী ও শিশুদেরও হত্যা করে। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক হত্যাকান্ড। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। তবে তারা সফল হতে পারেনি। শত চেষ্টা ও ইতিহাস বিকৃতি করেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সভাপতির বক্তৃতায় সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, জাতির পিতা সারাজীবন মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে গেছেন। এজন্য পঞ্চান্ন বছরের জীবনের ১৩ বছর কারাবন্দী ছিলেন। তিনি এসময় বলেন, আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।