প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কর্মরত জুনিয়র নারী কর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ। নিজের মন্ত্রিসভার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্দান।

তিনি বলেছেন, ‘ইয়াইন লেস গেলওয়ের সঙ্গে অফিসে কর্মরত এক নারী কর্মীর এক বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছি। সে কারণে তাকে বরখাস্ত করা হল।’

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী লেস গেলওয়ে। পাশাপাশি কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

লেস গেলওয়ে জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচন করবেন না।

তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার পদে পুরোপুরি অনুপযুক্ত এবং একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারি না।’

উদারপন্থী লেবার পার্টির নেতৃত্বদানকারী জাসিন্ডা আর্দানের বক্তব্য, তিনি নৈতিক রায় দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক ছিলেন, মন্ত্রী তার নিজের ভূমিকা সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারেনি। তার দায়িত্ব ছিল কর্মক্ষেত্রের সম্পর্ক ও সুরক্ষার তদারকি করা কিন্তু তা তিনি করেননি। এরই মধ্যে আর্দানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বরখাস্ত হয়ে যাওয়া মন্ত্রী।

এরই মাত্র একদিন আগে, বিরোধী দলের সংসদ সদস্য অ্যান্ড্রু ফ্যালন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী-সহ বেশ কয়েকজন নারীকে অশালীন ছবি পাঠানোর অভিযোগে পদত্যাগ করেছিলেন। তবে নিজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ফ্যালন।

আর্দান বলেছেন, তিনি মঙ্গলবার বিকেলে অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং সন্ধেয় লেস গেলওয়েকে তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘তার এই ধরনের কাজ আমাকে একজন মন্ত্রী হিসাবে তার প্রতি আস্থা হারাতে বাধ্য করেছে।’

জাসিন্ডা আর্দান আরো বলেন যে, ‘সংসদে দীর্ঘকাল ধরে একটি সংস্কৃতি এবং একটি পরিবেশ ছিল যার উন্নতির প্রয়োজন ছিল। এই পরিবেশের আমরা মান বজায় রাখতে পারিনি, তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সবার ভূমিকার প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতা জুডিথ কলিন্স বুধবার আর্দানের কাছে চিঠির মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন যে সংসদের সংস্কৃতি পরিবর্তনের প্রয়োজন এবং এই বিষয়ে দু’পক্ষেরই কাজ করা উচিত। এই সময়