মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ তুলেছেন।

আজ আরব টাইমসের এক প্রতিবেদন জানায়, অবৈধ ভিসা বাণিজ্য, অর্থ পাচার ও ঘুষ লেনদেনসহ মানব পাচারের অভিযোগে পাবলিক প্রসিকিউশনের তদন্তকারীদের পাপুল বলেছেন, ‘আমি নিষ্পাপ… কিন্তু কর্মকর্তারা নন’।

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে তার ওই লেনদেনকে ন্যায়সঙ্গত দাবি করে তিনি বলেন, ‘কুয়েতে আমার ৯ হাজার কর্মী আছে। কেউ আমার কাজের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন করেনি। তবে (কুয়েতের) কিছু কর্মকর্তা আমার কাজ বন্ধ করেছেন। তাদেরকে কেবল টাকা দিয়েই রাজি করানো যায়। আমি এক্ষেত্রে কী আর করতে পারি?’

সূত্রের বরাত দিয়ে আরব টাইমস জানায়, বাংলাদেশি এমপি তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, তার কোম্পানিতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা অন্য কোম্পানিতে নেই।

কোম্পানির মানের প্রমাণ হিসেবে তিনি সরকারি যেসব এজেন্সিগুলোর সঙ্গে তার কোম্পানি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, সেসবের কথা তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সব সমস্যার মূলে রয়েছেন কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা।’

মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন কুয়েতে গ্রেপ্তার হন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। ২৩ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেল। ডেইলীস্টার বাংলা