সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা কমপক্ষে ৬৫ বছর করার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।একইসঙ্গে দ্রুত এই সুপারিশ বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে বেশকিছু যুক্তিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বলেন, উন্নত দেশগুলো তাদের জনগণকে মানবসম্পদে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বয়সের কোন সীমারেখা নির্দিষ্ট করেনি। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪০ বছর, শ্রীলংকায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫ বছর, ইতালিতে ৩৫ বছর, ফ্রান্সে ৪০ বছর। অনেক দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত। কিন্তু বাংলাদেশে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করা হয়েছে। আর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে আরো দুই বছর বেশি। কিন্ত প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর হয়নি। তবে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদেও সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরাও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কমিটির সভাপতি সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, মো. আবদুল্লাহ, খোরশেদ আরা হক বৈঠকে অংশ নেন।