মরণব্যাধি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় পবিত্র রমজানে তারাবিহর নামাজ মসজিদের পরিবর্তে ঘরে পড়ার জন্য মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এই নির্দেশনা না মানলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

শুক্রবার সকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজানে এশার নামাজের জামাতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদিম এবং দুজন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এশার জামাত শেষে এ ১২ জনই মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন। তারা ছাড়া অন্য মুসল্লিরা নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবির নামাজ আদায় করবেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দুআ’র মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করবেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার স্বার্থে পবিত্র রমজান উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান ইফতার মাহফিলের আয়োজন কিংবা যোগদান করতে পারবেন না।

উল্লেখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে হুশিয়ার করা হয়।

করোনা সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ নির্দেশ জারি করা হলো বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে করোনা মোকাবেলায় দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ, জুমা, জামাত, শবে বরাতের নফল নামাজ এবাদত ইত্যাদি মসজিদের পরিবর্তে মুসল্লিদের ঘরে আদায়ের নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।