রাজনীতি | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 427 বার
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ইশরাত জাহান এশার। এশার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় জানান, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় পুলিশ কনভেনশন সেন্টার ইস্কাটনে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। দুই বছর আগে এই ছাত্রলীগ থেকে এশাকে বহিষ্কারের আদেশে সোহাগেরও স্বাক্ষর ছিল। এখন আবার ‘এক স্বাক্ষরেই’ সেই এশাকে ঘরে তুললেন সোহাগ।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের টানা আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের মোর্শেদা নামের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর রক্তাক্ত পায়ের ছবিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছবির সঙ্গে গুজব ছড়ায়, হলের মেয়েদের রগ কেটে দিয়েছেন এশা। এই গুজবের ওপর ভিত্তি করে হলের মেয়েরা তাকে অবরুদ্ধ করেন। এরপর ছাত্রীরা এশাকে মারধর করেন ও জুতার মালা পরান।
তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী ওই হলে গিয়ে এশাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। ওই রাতেই ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এশাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান।
এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করে ছাত্রলীগ। পরে জানা যায়, মোর্শেদার পা কেউ কাটেনি, বরং এশার কক্ষের জানালার কাচে লাথি মারতে গিয়ে তার পা কেটে যায়।
এরপর ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এশার সঙ্গে দেখা করেন এবং তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।
পরবর্তী সময়ে তিনদিনের মাথায় এশার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে ছাত্রলীগ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে।
ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে করে বলেন, সেই রাতে পরিস্থিতিটাই এমন ছিল যে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এশাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।
Leave a Reply