আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছরের এই দিনে তিনি ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

মৃত্যুর সময় তার তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। এরআগে ২০১৮ সালের ৩ জুলাই ওই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় এবং প্রায় দীর্ঘ ছয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জানা যায়, ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ আশরাফুল ব্রিটিশ ভারতীয় সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের মেয়ে শীলা ঠাকুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শীলা লন্ডনে শিক্ষকতা করতেন এবং ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার একমাত্র মেয়ে রীমা ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ভারতীয় জেনারেল উবান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে তার বইয়ে তরুণ যোদ্ধা আশরাফের কথা বলেছিলেন। কিশোরগঞ্জ সদর আসনের টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলজিআরডি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচন আদায় এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয় লাভে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি দুবার দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পদে ছিলেন।

সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং জনপ্রশাসন বিভাগের মন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।