অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 419 বার
ঢাকার বনানীতে চীনের নাগরিক জিয়ানহুই গাওকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনায় বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত্রা স্বীকার করেছেন যে, টাকা লুট করার জন্য তারা গাওকে হত্যা করেছেন।
আজ (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, গাও পদ্মা সেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহ করতেন এবং বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর বাড়ির সপ্তম তলায় ভাড়া থাকতেন। গ্রেফতারকৃত রউফ ও এনামুল ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
তিনি জানান, গতকাল বনানী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে রউফ ও এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছে থেকে গাওয়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, এক লাখ ২১ হাজার পাঁচশ টাকা এবং আরও কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বালতি, তোয়ালে এবং কাঠের টুকরা রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গত ১০ ডিসেম্বর রউফ ও এনামুল গাওয়ের ফ্লাটে ঢুকে তোয়ালে দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ফ্লাট থেকে তিন লাখ ৪৯ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান। এরপর তারা ওইদিন রাতেই বাড়ির পেছনে গাওয়ের মরদেহ মাটিচাপা দেন।
গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান যে, বনানী এলাকার ধনী ব্যক্তিদের জীবনযাপন দেখে তারা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। বহুদিন ধরেই তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ খুঁজছিলেন।
রউফ ও এনামুল বেশ কিছুদিন ধরে গাওকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। যেহেতু গাও একজন বড় ব্যবসায়ী এবং প্রতিদিন তিনি অনেক টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরতেন। তাই তারা তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১১ ডিসেম্বর নিরাপত্তারক্ষীদের একজনের দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই ওই ভবনের পেছনে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় গাওয়ের (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেসময় চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে গাওয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় ১২ ডিসেম্বর। মর্গ সূত্র জানায়, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
গাওয়ের স্ত্রী ঝাং শু হং গত ১২ ডিসেম্বর চীন থেকে বাংলাদেশে এসে বনানী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply