বিদেশ | তারিখঃ ডিসেম্বর ১১, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 845 বার
সানা ম্যারিন ৩৪ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিনল্যান্ডে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। এনিয়ে আন্তজাতিক মহলে বেশ আলোচনা চলছে। তবে সানা ম্যারিনের বেড়ে ওঠা অত সুখকর ছিল না। সমলিঙ্গ পরিবারে বেড়ে ওঠা বিশ্বের এই সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শৈশবে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এক নজরে সানা ম্যারিন:
ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে ১৯৮৫ সালের ১৬ নভেম্বর জন্ম সানার। জন্মগত নাম সানা মিরেলা ম্যারিন।যে পরিবারে ম্যারিনের বড় হওয়া, সেটিও বেশ বৈচিত্রময়। ম্যারিন নিজে সমলিঙ্গ দম্পতির সন্তান।
ম্যারিনের শৈশব কেটেছে ভাড়াবাড়িতে। তাকে বড় করে তোলেন মা এবং মায়ের সঙ্গিনী। পারিবারিক পরিচয় দিতে শৈশবে বারবার হোঁচট খেয়েছেন তিনি। গুটিয়ে রাখতেন নিজেকে। কিন্তু তাকে বরাবর আত্মবিশ্বাস আর সাহস জুগিয়েছেন তার মা।
এনিয়ে সানা জানান, তিনি তার পরিবার সম্পর্কে সেসময় বাইরে তেমন কিছুই বলতে পারতেন না।
সানা বলেছেন, সেসময় নিশ্চুপ হয়ে থাকা ছিল অনেক কষ্টের। আমাদের পরিবারকে অন্যান্য পরিবারের মত দেখা হত না সমাজে।
১৯ বছর বয়সে ২০০৪ সালে তিনি হাই স্কুল উত্তীর্ণ হন সানা। তিন বছর পরে স্নাতক হন ইউনিভার্সিটি অব ট্যাম্প্রে থেকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্সেস বিষয়ে।
তার পরিবার থেকে তিনি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। তবে ম্যারিন জানান, তার মা তাকে সবসময় সমর্থন করেন।
রাজনীতিতে তিনি প্রবেশ ২৭ বছর বয়সে। এই বয়সেই ট্যাম্প্রে সিটি কাউন্সিলের সদস্য হন তিনি। এরপর চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব। ২০১৪ সালে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দ্বিতীয় ডেপুটি চেয়ারপার্সন হন তিনি। ২০১৫ সালে ৩০ বছর বয়সে প্রথমবার ফিনল্যান্ড পার্লামেন্টের সাংসদ নির্বাচিত হন ম্যারিন। ২০১৯ সালের ৬ জুন দায়িত্ব নেন দেশের যোগাযোগ ও পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে।
ডাকবিভাগে ধর্মঘট নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে জোটসঙ্গী সেন্টার পার্টি সমর্থন তুলে নেওয়ায় সম্প্রতি সরকার ভাঙে ফিনল্যান্ডে। আস্থা ভোটে হেরে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অ্যান্টি রিনে। সেই শূন্য আসনেই ম্যারিনকে নির্বাচিত করেছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। খুবই অল্প ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়ভার পড়ে তার হাতে।
সমলিঙ্গ পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়েটি আজ বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী
গত ২০১৮-র জানুয়ারিতে মা হন সানা। ম্যারিনের মেয়ে এমার বয়স এখনও দু’বছর হয়নি। ম্যারিন জানিয়েছেন, তার দীর্ঘদিনের পার্টনার মার্কাস রাইক্কোনেনের সঙ্গে ভবিষ্যতে বিয়ের পরিকল্পনা আছে।
Leave a Reply