ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সিরাজুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবলীগ কর্মী গুলিতে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বোরবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের সমিতি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিরাজ উপজেলার নিজকুঞ্জরা গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলফিকারের অনুসারী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘোপাল ইউনিয়নের সমিতি বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক ও ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলফিকুল ছিদ্দিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে রোববার দুপুরে চেয়ারম্যান আজিজ গ্রুপের ৫/৬জন অনুসারী সমিতি বাজারে দোকানে বসা অবস্থায় সিরাজুল ইসলামের উপরে অতর্কিতে হামলা ও গুলি করে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীদের গুলিতে পারভেজ, জিহান, শহীদ নামের আরও তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিরাজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারের সব দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক মুঠোফোনে জানান, জুলফিকুল ও পারভেজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বা তার লোকজন এ ঘটনায় জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেসবাহ উদ্দিন একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কীভাবে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।