সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোররাতে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের বকচরা মোড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

দ্বীপ আজাদ শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মইনুল ইসলামের ও সাইফুল ইসলাম কালিগঞ্জের সাইহাটি গ্রামের সবুর সরদারের ছেলে।

জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের দেহরক্ষী ছিলেন তারা। তবে পুলিশের দাবি, নিহত দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম সন্ত্রাসী ছিল।

বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন বলে অভিযোগ সাংবাদকর্মীদের। তবে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শনিবার একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

সাদিক তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ভাই তোদেরকে এইভাবে হারায়ে ফেলব তা কখনও বুঝতে পারিনি, পারলে মাফ করে দিস। দোয়া করি আল্লাহ তোদের বেহেস্তবাসী করুন।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। কালিগঞ্জের এক ব্যক্তির ২৬ লাখ টাকা ছিনইতাইসহ বিভিন্ন লোককে হত্যার সঙ্গে দ্বীপ ও সাইফুল জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।