বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে। বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কাউন্সিল অধিবেশনে চেয়ারম্যান পদে শেখ ফজলে শামস পরশের নাম প্রস্তাব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম। সমর্থন করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। এ পদে আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় চেয়ারম্যান পদে পরশের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। ফজলে শামস পরশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কালরাতে শেখ ফজলে শামস পরশের বাবা-মাও শহীদ হন।
ওই সময় তিনি ও তার ছোট ভাই ঢাকা-১২ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস প্রাণে বেঁচে যান। সে সময় পরশের বয়স ছিল ছয় বছর এবং তাপসের বয়স ছিল চার বছর।
এদিকে কংগ্রেস অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক পদে সাতজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে সাধারণ সম্পাদকের নাম চূড়ান্ত করার জন্য ২০ মিনিট সময় দেয়া হয়। নির্ধারতি সময়ে প্রার্থীরা সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় তারা এ পদে দায়িত্ব দেয়ার ভার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর ছেড়ে দেন। উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নাম ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা নিখিল দুই যুগের বেশি সময় ধরে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এর আগে তিনি উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, সুব্রত পাল, মনজুর আলম শাহিন, ইকবাল মাহমুদ বাবলু ও বদিউল আলম এর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কংগ্রেস উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।