নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার ষ্টীমারঘাট-সোনাপুর সড়কের খাসেরহাট রাস্তার মাথার সংলগ্ন কালু হাজীর বাড়ির দরজার সামনে বরযাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে গেলে অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈকত সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে হাতিয়া উপজেলার টাংকি বাজার এলাকা থেকে সুবর্ণ পরিবহনের বরযাত্রীবাহী একটি বাস সুবর্ণচর উপজেলার থানারহাট যাচ্ছিল।

পথিমধ্যে, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার সময় সুবর্ণচর উপজেলার খাসেরহাট রাস্তার মাথার সংলগ্ন কালু হাজীর বাড়ির দরজার সামনে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী, সৈকত সরকারি কলেজের রোভার স্কাউট সদস্য ও সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে স্থানীয় ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয় এবং বাসে কোনো যাত্রী নেই বলে জানান। এ ঘটনায় ১৩ জন যাত্রী আহত হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক ১৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে চর জব্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহেদ উদ্দিন জানান, খাসেরহাট রাস্তার মাথার দক্ষিণে কালু হাজীর বাড়ির দরজার সামনের পুকুরে বরযাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানিতে ডুবে যায়। পরে, এলাকাবাসী, সৈকত সরকারি কলেজের রোভার স্কাউট সদস্য ও সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

স্থানীয় ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয় এবং বাসে কোনো যাত্রী নেই বলে জানান। এ ঘটনায় ১৩ জন যাত্রী আহত হয়। অপর যাত্রীদেরকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক জানান, দুর্ঘটনার পরপর সুবর্ণচর ফায়ার স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালায়। পরে, মাইজদী ফায়ার স্টেশন থেকে আরো ২টি ইউনিট এবং অ্যাম্বুলেন্স উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। এতে ১৩ জন যাত্রী আহত হলেও এখন পর্যন্ত নিহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।