অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ অক্টোবর ২০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 641 বার
পিরোজপুরের নাজিরপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে কামরুল ইসলাম সুজন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক কামরুল ইসলাম সুজন (৩০) জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার রাজাবাড়ি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আজ (রোববার) ভোরে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া বাজারের মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুর করেন সুজন। এরপর কলারদোয়ানিয়া গ্রামে ঢুকে আরও দুইটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেন তিনি ।
মন্দিরে হামলার অভিযোগে স্থানীয়রা তাকে আটক করে উপজেলার বৈঠাকাটা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। এরপর পুলিশ সেখান থেকে সুজনকে আটক করে নাজিরপুর থানায় হস্তান্তর করে।
বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান।
গৃহবধূ গৌরী মল্লিক জানান, তিনি ভোরবেলা শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের দরজার তালা খুলে রেখে পূজা দেওয়ার জন্য ফুল তুলতে যান। কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন পাঞ্জাবী পরা, মাথায় টুপি, মুখে দাড়িওয়ালা এক লোক বের হয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। মন্দিরে ঢুকে দেখেন মন্দিরের সকল প্রতিমা ভাঙা। এর কিছু সময় পরে জানতে পারি একই গ্রামের আরেকটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুরের সময় লোকজন তাকে আটক করেছে। আমি সেখানে গিয়ে তাকে চিনতে পারি।
ওই গ্রামের উজ্জল মল্লিক জানান, তার কাকীমার চিৎকার শুনে কয়েকজন এসে মন্দিরের ভেতরে প্রতিমা ভাঙচুর করার সময় কামরুল ইসলাম সুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলি।
বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই অনুপ কুমার মণ্ডল জানান, রবিবার ভোর পৌনে ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে একই এলাকার তিনটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে কামরুল সুজন। এ সময় আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতিমা ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছে।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনি পুলিশ সুপারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আটক কামরুল ইসলাম সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে নাজিরপুর থানার ওসি মোঃ মুনিরুল ইসলাম মুনির বলেন এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply