গ্লোবাল ট্যুরে সিঙ্গাপুর সফর করছে ব্রাজিল। বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ ছিল সেনেগাল। শহর খ্যাত দেশ সিঙ্গাপুরে ৫৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়াম। তা পরিপূর্ণ হওয়া অবশ্য সহজ কথা নয়। সিঙ্গাপুর স্বাগতিক হলেও কথা ভিন্ন ছিল। তার ওপরে প্রতিবেশি চীন, কোরিয়া রিপাবলিক, জাপান, অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের খেলা ছিল। তবে মাঠে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা নিশ্চয় ম্যাচটা উপভোগ করেছেন। নেইমারদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে সেনেগাল।

ম্যাচের নয় মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গ্যাব্রিয়েল জেসুস দারুণ এক ড্রিবলিং করে লিভারপুল তারকা রর্বাতো ফিরমিনোকে বল বাড়ান। তিনি সামান্য চিপ করে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন বল। এগিয়ে যায় ব্রাজিল। বলের দখলে আক্রমণে ব্রাজিল প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে সমতায় ফেরে সেনেগাল।

নিজেদের অর্ধে ব্রাজিলের পিএসজি ডিফেন্ডার মারকুইনস ‘অহেতুক’ সেনেগাল তারকা সাদিও মানেকে ফাউল করেন। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি রেফারি। গোলও করতে ভুল করেননি ফামারা দায়েউস। পরের অর্ধে চেষ্টা চালিয়েও গোল করতে পারেনি কোন দল। শুধু ব্রাজিল নয় সমান তালে সেলেকাওদের রক্ষণভাগকে পরীক্ষা নিয়ে গেছে সেনেগাল।

ম্যাচের বল দখল, গোলে আক্রমণই তার প্রমাণ দেয়। ম্যাচে ব্রাজিল পায়ে বল রাখে ৫৩ ভাগ। সেনেগাল ৪৭ ভাগ বল পায়ে রেখে প্রমাণ দেয় তারাও পিছিয়ে ছিল না। ওদিকে ব্রাজিলের ৪৯৯ সফল পাসের বিপরীতে সেনেগাল ৪৩৬টি সফল পাস দিয়েছে মাঠে। গোছালো আক্রমণ করেছে। গোলের লক্ষ্যে ব্রাজিলের সমান চারটি শট নিয়েছে সাদিও মানেরা। গোলের বাইরে শট ব্রাজিলের ছয়টি। সেনেগালেরও ছয়টি। সব মিলিয়ে সমানে সমানে ছিল দু’দল।

ব্রাজিল তারকা নেইমার এ ম্যাচে ব্রাজিলের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নামেন। কিন্তু তিনি ম্যাচটি রাঙাতে পারেননি। নেইমার ঝলকও মাঠে খুব একটা দেখা যায়নি। পিএসজির হয়ে শেষ সময়ে গোল করে নেইমার দলকে জেতাচ্ছেন। ব্রাজিল কোচ তিতে হয়তো সেজন্য নেইমারের ওপর শেষ পর্যন্ত ভরসা করেছেন। কিন্তু তিনি একটি গোল করে দলকে জেতাতে পারেননি। ক্যারিয়ারে ৬২তম গোলটি করে রোনালদো নাজারিওর পাশেও বসতে পারেননি। এর আগের প্রীতি ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে হারে ব্রাজিল। এ নিয়ে তাই টানা দুই ম্যাচ জয়হীন সেলেকাওরা।