বিদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 843 বার
সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান চালানোর ঘোষণার পর নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে এই অভিযানে সহায়তা করবে না এবং সেখানে অবস্থানও করবে না।’
সোমবার সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। তবে এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রও তুর্কি অভিযানের সম্ভাব্যতার কথা জানিয়েছিলো। চূড়ান্ত ঘোষণা আসার পর সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে তারা।
তবে মার্কিন সেনারা সিরিয়াতে অবস্থান করা এক হাজার সেনাকেই প্রত্যাহার করে নেবে নাকি শুধু উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে সরে আসবে সেটা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তেল আবিয়াদ ও রাস আল আইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। অন্যান্য অঞ্চলের সেনারা এখনও তাদের অবস্থানেই রয়েছে।
সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের সাঁজোয়া যান মোতায়েনের ছবি ও ভিডিও তুর্কি সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ওই অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পরই এ প্রস্তুতি শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত এলাকার সুরক্ষায় কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা।
সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা আইএসবিরোধী লড়াইয়ে সিরিয়ার আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করছে। প্রায় ১০ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলা সিরিয়া থেকে এর আগে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
Leave a Reply