গণধর্ষণের শিকার নারীর সঙ্গে ধর্ষকদের একজনের বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ধর্ষকদের রক্ষা করতে থানার ভেতরেই তিন ওই বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আদেশ জারি করে ওবাইদুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে আজ এই খবর জানিয়েছেন।

অভিযোগ ওঠার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেদিন একজন উপ-পরিদর্শকে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে পাবনার এসপি সেদিন জানান, বিয়ে আয়োজনে অভিযুক্ত ওসি ওবাইদুলকে প্রত্যাহার আর থানায় জোর করে কাজী ডেকে আনায় এসআই একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত মাসে ৩৩ বছর বয়সী তিন সন্তানের জননী এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকদের একজনের সঙ্গে বিয়েতে বাধ্য করেন ওসি ওবাইদুল। এই বিয়ের আইনগত ভিত্তি তৈরির জন্য ভিকটিমকে পুরনো তারিখের একটি তালাকনামাতেও স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয় তখন।

পরে ভিকটিমের ভাই সাংবাদিকদের জানান যে ধর্ষকদের আড়াল করতে ওসি এই বিয়ের নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। এ খবর গণমাধ্যমে আসার পর ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। একই দিনে ভিকটিম বাদী হয়ে রাসেল, শরিফুল ইসলাম ঘন্টু, হোসেন আলী, ওসমান ও সঞ্জুকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৯ ও ৩১ আগস্ট ঘরে আবদ্ধ করে আসামীরা তাকে গণধর্ষণ করেছে।

তদন্ত কমিটি ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদে পেশ করা প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতার কথা জানিয়েছে।