জেলা সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 525 বার
হামদর্দের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কথিত রাজাকার ইউসূফ হারুন ভূঁইয়াকে নির্দোষ প্রমাণে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একেএম শাহজাহান কামাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের ব্যানারে শহরের ফুড গার্ডেন পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রাজাকারদের বিরুদ্ধে জেলার রায়পুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে ‘হামদর্দের অর্থায়নে’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চারজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, আওয়ামী লীগের কয়েক ব্যক্তি পকেট ভারি করে জামায়াত নেতা ইউসূফ হারুনকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তারা হামদর্দে চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া চন্দ্রগঞ্জের দুজন সিনিয়র সাংবাদিক জানান, অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে রাজাকার প্রশ্ন সামনে আসলে এমপি শাহজাহান কামাল বিব্রতবোধ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি তড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠান শেষ করে দেন। সেখানে কয়েক অনুসারীকে নিয়ে উপস্থিত থাকা হামদর্দের এমডির ছেলে মো. আজাদ ভূঁইয়াকে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বক্তারা বলেন, ইউসূফ হারুন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা, তা আমরা জানি না। তিনি রাজাকার ছিলেন কিনা তাও জানা নেই। কারণ রাজাকারের তালিকায় এ নাম কখনও আমরা দেখিনি। মুক্তিযোদ্ধারা সব সময় সত্য কথা বলেন। শহীদ আবদুল হালিম বাসুকে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার শাহ আলম ও নজরুল গুলি করে হত্যা করেছেন। তখন মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে ঘটনাস্থলে তারাও মারা যান। ইউসূফ হারুন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উল্যা মনা বাকশাল, রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সার্জেন্ট (অব.) আবুল খায়ের প্রমুখ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্বাহী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন রাজাকারদের বিরুদ্ধে তদন্তে আসেন। এ সময় তিনি রায়পুরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ‘রাজাকার’ ইউসূফ হারুনের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেন। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ প্রদান করা হয়।
রায়পুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নিজাম উদ্দিন পাঠান বলেন, আমি ইউসূফ হারুনকে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম বাসুকে গুলি করতে দেখেছি। তার গুলিতেই বাসু শহীদ হয়েছিলেন। আমরা রাজাকার ইউসূফ হারুনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, রায়পুর উপজেলা কমান্ডারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধারা হামদর্দের এমডি ইউসূফ হারুনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলে। এ নিয়ে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। উৎস -জাগো নিউজ
Leave a Reply